সবুজ গালিচার বুকে সাদা ও বেগুনি রঙের আলপনা। দৃষ্টির সীমানাজুড়ে ফুটে আছে অজস্র কচুরি ফুল। চোখ জুড়ানো অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ না হয়ে যেন উপায় নেই। এ যেন চৈত্রের সেতারে বাজে বসন্ত বাহার।
ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে গাজীপুর কড্ডা এলাকার তুরাগ নদের পাড়ে বিস্তৃত মাঠে চৈত্রের নির্মল নীলাকাশের নিচে এমন নান্দনিক শোভা বিরাজমান। এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেস পিপাসু মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ যেন ছবির ক্যানভাস। বাতাসের সাথে তরঙ্গের খেলা চলছে কচুরি ফুলের। চোখের মিতালী আর মনের ভাব এখানে যেন কথা বলছে।
একজন মা তার ছোট শিশুকে কচুরি ফুল তুলে দিচ্ছেন। শিশুগুলো ফুল নিয়ে মনের আনন্দে খেলছে আর হাসছে মনের আনন্দে। এ যেন এক টুকরো বাংলাদেশ হাসছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে তরুণরা এসে মেলে ধরা কচুরি ফুলের পাপড়ি জড়িয়ে বন্দি করছেন ফ্রেমে।
টান কড্ডার বাসিন্দা সাহেদ বলেন, এই মৌসুমে তুরাগ নদের পানি কমে যায়। কিছু জমিতে ধান লাগানো হয় আর কিছু জমি পতিত থাকে। পতিত থাকা জমিতে ফুটেছে কচুরি ফুল। এক পাশে ধানক্ষেত আরেকপ্রান্তে কচুরি ফুল, যা দেখতে দারুণ লাগছে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বিকেল বেলা ছুটে আসেন এখানে।
আরেক বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, শিশুরা কচুরি ফুল দিয়ে খেলতে ভীষণ ভালোবাসে। বিকেল হলেই ওরা ছুটে আসে ফুল তুলতে।
কচুরি ফুলের দৃশ্য শৈশবের ফেলে আসা দুরন্তপনার কথা আমাদের মনে করিয়ে দেয়। কচুরি ফুলে তেমন কোনো সুবাব না থাকলেও এর নজর কাড়া সৌন্দর্যই প্রকৃতিপ্রেমীদের পাগল করে। তাই শহুরে জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে এখানে এসে কচুরি ফুলের সৌন্দর্য দেখে মিটতে পারে দৃষ্টি ও মনের তৃপ্তি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।